বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি পরিচিতি

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

নিচে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লোনা ও স্বাদুপানির চিংড়ির প্রাপ্তিস্থান ও পরিচিতি বর্ণনা করা হলো:

বাগদা চিংড়ি (Penaeus monodon): বাংলাদেশের উপকূলীয় ও মোহনা অঞ্চল, যেমন বাগেরহাটের ঊর্ধ্ব মোহনা, চালনা মোহনা, খুলনার পশুর নদীর মুখে নিম্ন মোহনা, পটুয়াখালীর রাঙাবালী, খেপুপাড়া মোহনা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা এবং বঙ্গোপসাগর। তাছাড়া ভোলা জেলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদী ও বুড়গৌরাঙ্গা নদীর মোহনায় পাওয়া যায়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকা ও লোহিত সাগরে এদের পাওয়া যায়।

বাগদা চিংড়ি দেখতে বাদামি থেকে সবুজ রঙের হয়ে থাকে। এদের পায়ে বাঘের মত কালচে ডোরাকাটা দাল থাকে বলে এদেরকে জায়ান্ট টাইলার শ্রিম্প (giant tiger shrimp) বলা হয়। এই চিংড়ির ইউরোপডে দু'টি ঘন নীল বর্ণের ডোরাকাটা দাগ থাকে। বাগদা চিংড়ির পোনার দেহের সম্মুখভাগ থেকে পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত লাল রেখা দেখা যায়। রোস্টীম বাঁকা ও প্রশস্ত এবং দেখতে অনেকটা তরবারীর মত। রোস্টামের উপরের দিকে ৭-৮টি ও নিচের দিকে ৩-৪টি দাঁত থাকে। টেনসন খাঁজযুক্ত, যকৃত দেশিয় কেরিনা সোজা আকৃতির এবং ৫ম পেরিওপডে এক্সোপোডাইট নেই।

চিত্র-১.২: ৰাগদা চিংড়ি

ঢাকা চিংড়ি (Pemnaeus indicus): বাংলাদেশের খুলনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার ও বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়। পালঙ্ক অফ এডেন, মাদাগাস্কার, আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, নিউগিনি, ভারত ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় এই চিংড়ি দেখা যায়। ঢাকা চিংড়ির দেহে হালকা বাদামী রঙের ফোটা ফোটা দাগ থাকে। এর রোস্টাম খাড়া ও বাঁকা রোস্টানের উপরিভাগে ৮-১০টি এবং নিচের দিকে ৪-৬টি শীত থাকে। শুড় বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। পা কখনও কখনও লালচে বর্ণের হয়ে থাকে। 

চিত্র- ১.৩: ঢাকা চিংড়ি                                  চিত্র- ১.৪: ৰাগতার চিংড়ি

বাগতারা চিংড়ি (Penaeus semirulcatus): বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মোহনা অঞ্চল এবং পটুয়াখালী জেলায় এই চিংড়ি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ায় উত্তরাঞ্চল, ফিলিপাইন, ভারতের পূর্ব উপকূল, নিউগিনি ও মালয়েশিয়াতে এই চিংড়ি পাওয়া যায়। এই চিংড়ি দেখতে অনেকটা হালকা সবুজ বর্ণের এবং এদের দেহে অসংখ্য বাদামি রঙের ফোঁটা দাগ থাকে। রোস্ট্রামের দুই পাশে ভাঁজ দেখা যায়। রোগ্রামের উপরিভাগে ৫-৮টি এবং নিচের দিকে ৩টি দাঁত থাকে। এদের পঞ্চম চলন পদে ছোট এক্সোপোডাইট বৰ্তমান।

হরিণা চিংড়ি (Melapenaeus monoceros) : হরিণা চিংড়ি লোনা পানিতে বাস করে। সাধারণত সমুদ্রের ১০-৩০ মিটার গভীরে এদের বিচরণক্ষেত্র। বাগেরহাটের ঊর্ধ্ব মোহনা, চালনা মোহনা, কুমারখালী মোহনা, ভুলা, চরচাপলি, খুলনার পশুর নদীর মুখে নিম্ন মোহনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বঙ্গোপসাগর এলাকা এই চিংড়ির বিচরণ ক্ষেত্র। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত মহাসাগর, মালয়েশিয়া, মালরা স্টেইট ও ভারতের সমগ্র সমুদ্র উপকূল এলাকায় এদের পাওয়া যায়। এই চিংড়ির রোস্টাম সোজা এবং শুষ্প বাগামি রঙের হয়ে থাকে। রোহামের উপরিভাগে ৮-১২টি বীজ থাকে এবং নিচের ভাগে কোনো দ্বীজ থাকে না। ফ্লাজেলা উজ্জ্বল লাল রঙের এ কারণে এদেরকে হরিণা চিংড়ি বলে। ইউরোপড হালকা লাল বর্ণের হয়ে থাকে।

চিত্র ১.৫: হরিণা চিংড়ি                                     চিত্র- ১.৬: হরি চিংড়ি

হল্লি চিংড়ি (Metapenaeus brevicornis): বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মোহনা অঞ্চলে এই চিংড়ি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের সমুদ্র উপকূলে এদের পাওয়া যায়। পকিস্তান ও ভারতে এটি বাণিজ্যিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিংড়ি। আঁশযুক্ত দেহের উপরিভাগে বাসামি ফোঁটা ফোঁটা দাগ থাকে এবং এই ফোঁটা দাগ লেজের দিকে বেশি থাকে। রোস্টামের পিছনের অংশে উঁচু শৃঙ্গ বা ঝুঁটি থাকে। রোস্টামের উপরিভাগে ৫-৭টি দাঁত থাকে কিন্তু নিচের দিকে কোনো দাঁত থাকে না।

ডোরাকাটা চিংড়ি (Penaeus japonics): গভীর সমুদ্রে এই চিংড়ি পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরে ০-৯০ মিটার গভীরতায় এই চিংড়ি পাওয়া যায়। জাপান, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা, আফ্রিকা ও ভারতে এই ডোরা কাটা চিংড়ি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এই চিংড়ির দেহে ডোরাকাটা দাগ থাকে। রোস্ট্রাম সোজা ও রোস্টামের উপরিভাগে ৯-১০টি এবং নিচের দিকে ১টি দাঁত থাকে। স্ত্রী চিংড়ির খেলিকামের সম্মুখ অংশের মাথা গোলাকার।

চিত্র- ১.৭: ডোরাকাটা চিংড়ি                         চিত্র- ১.৮: ৰাধাতারা চিংড়ি

ৰাধাতারা চিংড়ি (Parapenaeopsis stylifera) : বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালী এলাকা এবং সুন্দরবন সংলগ্ন নিম্ন মোহনায় এই চিংড়ি পাওয়া যায়। তাছাড়া কুয়েত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ভারত, বার্মা ও ইন্দোনেশিয়াও এদের বিচরণ এলাকা। এই চিংড়ির রোস্ট্রাম ও উপর খন্ডে ছাই রঙের আড়াআড়ি দাল বিদ্যমান। টেলসন ও লেজে পাখনা এবং বক্ষ ও সন্তরণ পদ লাল রঙের হয়ে থাকে। খাটো রোস্টামের উপরিভাগে ৭-৯টি দাঁত থাকে।

বাগচাষা চিংড়ি (Penaeus hiergensis): ঈষৎ লবণাক্ত পানি ও লোনা পানিতে বাগাচামা চিংড়ি বাস করে। সমুদ্রের ১০-৪৫ মিটার পানির গভীরে এদের পাওয়া যায়। বৃহত্তর খুলনা ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্ন মোহনা এবং বঙ্গোপসাগরে বাঘাচামা চিংড়ি পাওয়া যায়। দক্ষিণ চীন সাগর, মালয় আর্কিপেলাগো, অস্ট্রেলিয়া, এরাবিয়ান গালফ, পাকিস্তান ও ভারত এদের বিচরণ ক্ষেত্র। এই চিংড়ির গায়ের রং সাদাটে। রোস্ট্রাম শৃঙ্গ ক্রিকোণাকৃতির। রোস্টমের উপরিভাগে ৬-৭টি এবং নিচের দিকে ২-৪টি দাঁত থাকে।

গলদা চিংড়ি (Macrobrachium rasenbergia): বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র বিশেষ করে কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চাঁনপুর, চট্টগ্রামের হালদা নদী ও ভোলা জেলায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ভারতের দক্ষিণ- পশ্চিম সমুদ্র উপকূল, পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় অঞ্চল, উড়িষ্যা ও অন্ধ প্রদেশ, পূর্ব আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, শ্রীলংকা ও মায়ানমারে এই চিংড়ি পাওয়া যায়। এছাড়াও পশ্চিম গোলার্ধের ইন্দো তেলটা এলাকায় এদের পাওয়া যায়। 

গলদা চিংড়ি দেখতে সাধারণত হালকা নীল কিংবা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। উদর খোলসের সংযোগস্থলে নীল বন্ধনী থাকে। এই চিংড়ির ক্যারাপেসের খোলসে ২-৫টি কালচে আড়াআড়ি লম্বা দাগ দেখা যায়। রোস্ট্রাম পদ্মা ও বাঁকানো। রোস্টাসের উপরিভাগে ১১-১৪টি এবং নিচের অংশে ৮-১৪টি খাঁজ বা দাঁত থাকে। অন্যান্য চিংড়ির তুলনায় গলদা চিংড়ির শিরোক্ষ (cephalothromax) অংশ বেশ বড়। এই চিংড়ির দ্বিতীয় চলনপদ তুলনামূলকভাবে বড় এবং নীল ও কিছুটা কালচে রঙের হয়ে থাকে। গলদা চিংড়ির উদরের দ্বিতীয় গ্লিউরা প্রথম ও তৃতীয় প্রিউরাকে আংশিকভাবে আবৃত করে রাখে। ব্রাঙ্কিওস্টিলে কাঁটা নেই, তবে যকৃত কাঁটা আছে।

চিত্র ১.৯: গলদা চিংড়ি

ছটকা চিংড়ি (Macrobrachium malcolmsonii): বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র বিশেষ করে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, রংপুর, ফরিদপুর, ফেনী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চট্টগ্রামে এই চিংড়ি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, বার্মা ও বোর্ণিওতে এই ছটকা চিংড়ি পাওয়া যায়। এই চিংড়ির পৃষ্ঠদেশ ও তলদেশ হালকা নীল কিংবা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। দেহে বাদামি কিংবা কমলা বর্ণের ফ্যাকাশে হালকা টান টান দাগ থাকে। রোস্টামের পোড়া উত্তল এবং রোস্টামের উপরিভাগে ৯-১৪টি ও নিচের দিকে ৫-৯টি দাঁত থাকে। দ্বিতীয় চলন পদের কারপাস চিলার চেয়ে ছোট।

চিত্র- ১.১০: ছটকা চিংড়ি

ডিসুয়া চিংড়ি (Macrobrachium villosimana): বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র বিশেষ করে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম জেলার হালদা নদীতে এদের বিচরণ এলাকা। এছাড়া ভারত ও বার্মায় এদের পাওয়া যায়। এদের পারের রং স্বচ্ছ এবং ফ্লাজেলার অগ্রভাগ বাদামি লালচে রঙের। বাঁকানো ও সুদৃঢ় রোহামের উপরিভাগে ১২-১৩টি এবং নিচের দিকে ৮-৯টি দাঁত থাকে।

শুল চিংড়ি (Macrobrachiurn birmanicum): বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র কমবেশি এই চিংড়ি পাওয়া যায়। তবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিগ্রা ও সিলেট অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শুল চিংড়ি পাওয়া যায়। মিঠাপানির এই চিংড়ির পায়ের রং হলদে সবুজ, বক্ষ হালকা নীলাত রঙের এবং সক্ষরণ পদ নীলাভ রঙের হয়ে থাকে। ছোট ও উত্তল রোস্টানের উপরিভাগে ৮-১৪টি এবং নিচের অংশে ৪-৬টি দাঁত থাকে।

গোদা চিংড়ি (Macrobrachium rude): বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের হালদা নদীতে পাওয়া যায়। ভারত, আফ্রিকা, মাদাগাস্কার ও শ্রীলংকাও এদের বিচরণ এলাকা।

চিত্র- ১.১১: গোদা চিংড়ি                                                  চিত্র- ১.১২: চিকনা চিংড়ি

চিকনা চিংড়ি (Macrobrachium idella): বাংলাদেশের সর্বত্রই বিদ্যমান। পূর্ব আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, মালয় আর্কিপেলাগো, ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মোহনা ও নদীতে বিশেষ করে পূর্ব সমুদ্র উপকূল এদের বিচরণ ক্ষেত্র।

লটিকা চিংড়ি (Macrobrachium mirabile) : বাংলাদেশের মেঘনা নদী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও খুলনা অঞ্চলে এই চিংড়ি বাস করে। ভারতের গাঙ্গেয় অঞ্চল, মায়ানমার, মালয়েশিয়া ও বোর্ণিওতে পাওয়া যায়।

লালিয়া চিংড়ি (Metapenaeus spinulatus): লোনাপানির এই চিংড়ি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি ও খেপুপাড়া মোহনা এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকুলীয় অঞ্চলসহ বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়। এই চিংড়ির রোস্ট্রাম উত্তল ও অগ্রভাগ সূঁচালো। রোস্ট্রামের উপরিভাগে ৫-৬টি দাঁত থাকে। এন্টিনাল স্পাইন হেপাটিক স্পাইনের চেয়ে ছোট আকৃতির এবং টেলসনের পার্শ্বে দুই জোড়া স্পাইন থাকে। এই চিংড়ির এন্টিনিউলার ফ্লাজেলা ক্যারাপেসের চেয়ে লম্বা হয়ে থাকে।

সারণি : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন চিংড়ির নাম

ক্রম 

স্থানীয়/বাংলা নাম 

বৈজ্ঞানিক নাম

ইংরেজি নাম

০১

গলদা চিংড়ি, বড় ইচা, গলদা ইচাMacrobrachium rasenbergi Fresh water giant prawn

০২

ছটকা চিংড়ি, ছোট গলদা, বটি গলদাMacrobrachium malacolmsoniMon soon river prawn

০৩

ডিমুয়া চিংড়ি, কাঠালিয়া ইচাMacrobrachium
villosimanus
Dimua river prawn

০৪

গদ্দল চিংড়ি, ঠেঙ্গা চিংড়ি, নজরী ইচাMacrobrachium birmanicumBirma river prawn

০৫

গোদা চিংড়ি, পাইটা চিংড়িMacrobrachium rudeFresh water giant prawn

০৬

গেদা চিংড়ি, ব্রাহ্মনী চিংড়িMacrobrachium
dolichodactylus
Fresh water giant prawn

০৭

লটিয়া চিংড়ি, লইটা ইচাMacrobrachium mirabile Shortleg river prawn

০৮

কৃষ্ণ চিংড়ি, গুড়া ইভাMacrobrachium lamarreiKuncho river prawn shrimp

০৯

বাগদা চিংড়ি, বাগদা ইচা Penaeus monodonGiant/Jumbo tiger prawn

১০

চাকা চিংড়ি, চাপনা চিংড়ি, চামা চিংড়ি, সাদা ইচাPenaeus inducusIndian white shrimp

১১

স্বাগতারা চিংড়ি, হেড়ে বাগদাPenaeus semisulcatusGreen tiger shrimp

১২

ডোরোকাটা চিংড়ি, খুরমা চিংড়ি, জাপানি চিংড়িPenaeus japonicusKuruma shrimp

১৩

চাপদা চিংড়ি, বড় চামা চিংড়িPenaeus orientalisWhite shrimp

১৪

বাগা চিংড়ি, কোৱা চিংড়ি Penaeus merguiensisBanana shrimp

১৫

লাল চামা ইচা, চামা ইচাPenaeus penicillatusRed tail shrimp

১৬

হরিণা চিংড়ি, খরখরিয়া চিংড়িMetapenaeus monocerosYellow shrimp

১৭

হরি চিংড়ি, সাগা চিংড়িMetapenaeus brevicornisKadal Shrimp

১৮

লাপিয়া চিংড়িMetapenaeus spinulatusBrown shrimp

১৯

কেরাণী চিংড়িMetapenaeus affinisIndian brown shrimp/ Pink/
Ginga shrimp

২০

কুচো চিংড়িMetapenaeus lysianassaBird shrimp

 

সারণি: গলদা ও বাগদা চিংড়ির শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য

ক্রম 

গলদা চিংড়ি

বাগদা চিংড়ি

০১

বহিঃকঙ্কালের দ্বিতীয় উদর খন্ডকের প্লিউরা ১ম ও ৩য় উদর মস্তকের গ্লিউরাকে আংশিক আবৃত করে।বহিঃকঙ্কালের দ্বিতীয় উদর খন্ডকের প্রিউরা শুধুমাত্র ৩য় উপর মস্তকের প্লিউরাকে আংশিক আবৃত করে

০২

১ম দুইটি বক্ষ উপাঙ্গ চিলেটে রুপান্তরিত হয় এবং ২য় চিলেট উপাঙ্গটি তুলনামুলকভাবে বড় হয়।১ম তিনটি বক্ষ উপাঙ্গ চিলেটে রূপান্তিরত হয়।

০৩

শুক্রকীট স্থানান্তরের জন্য পুংজননাঙ্গ পেটাসমা বা স্ত্রী জননাঙ্গ থেলিকাম থাকে না।শুক্রকীট স্থানান্তরের জন্য পুংজননাঙ্গ পেটাসমা বা
স্ত্রী জননাঙ্গ থেলিকাম থাকে।

০৪

স্ত্রী চিংড়ি ডিমগুলো পুচ্ছাকারে প্লিওপডের মাঝখানে বহন করে।স্ত্রী চিংড়ি প্লিওপড়ে ডিম বহন করে না, বরং
সরাসরি পানিতে ছাড়ে।

০৫

মাথা দেহের ওজনের প্রায় অর্ধেক।মাথা দেহের ওজনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ

০৬

রোস্টামের নিম্নাংশে দাঁতের সংখ্যা বেশি।রোস্ট্রামের নিম্নাংশে দাঁতের সংখ্যা তুলতামূলকভাবে কম ।

০৭

আবাসস্থল মিঠা পানি, তবে প্রজননের সময় কিছু প্রজাতি ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে চলে আসেআবাসস্থল সমুদ্র এবং ঈষৎ লবণাক্ত পানি। প্রজননের সময় অধিকাংশ প্রজাতি সমুদ্রের লোনা পানিতে চলে যায় এবং লার্ভা অবস্থায় উপকূলীয় পানিতে চলে আসে।

০৮

স্ত্রী গলদার চেয়ে পুরুষ গলদা আকারে বড় ও ওজনে বেশি হয়।পুরুষের চেয়ে স্ত্রী বাগদা আকারে বড় হয় ও ওজনে বেশি হয়ে।

০৯

গলদা চিংড়ি মেরুদন্ডহীন মিঠাপানির বড় চিংড়ি।বাগদা চিংড়ি মেরুদন্ডহীন লোনাপানির বড় চিংড়ি।
Content added || updated By
Promotion